‘ভাগবৎ গীতা’র ৫টি সহজ উপদেশ যেগুলো মেনে চললে জীবনে উন্নতি অনিবার্য

‘ভাগবৎ গীতা’য় অর্জুনকে কৃষ্ণ যে উপদেশগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি নিছক ধর্মোপদেশ ছিল না। বরং সেগুলির মধ্যে ছিল জীবনের পথে এগিয়ে চলার যথাযথ নির্দেশিকা। এখানে রইল গীতায় উল্লিখিত এমন ৫টি উপদেশ যেগুলি আধুনিক জীবনেও উন্নতির পথনির্দেশ করতে পারে—
জীবনে উন্নতি অনিবার্য
‘ভাগবৎ গীতা’য় অর্জুনকে কৃষ্ণ যে উপদেশগুলি দিয়েছিলেন সেগুলি নিছক ধর্মোপদেশ ছিল না। বরং সেগুলির মধ্যে ছিল জীবনের পথে এগিয়ে চলার যথাযথ নির্দেশিকা। এখানে রইল গীতায় উল্লিখিত এমন ৫টি উপদেশ যেগুলি আধুনিক জীবনেও উন্নতির পথনির্দেশ করতে পারে— 
১. জীবনে আপনার ভূমিকা কী:
জীবনে একাধিক ভূমিকা আপনাকে পালন করতে হবে, কিন্তু এক সঙ্গে একের বেশি ভূমিকা পালন করার চেষ্টা করবেন না। নিজেকে একটি ভূমিকায় সম্পূর্ণ উৎসর্গ করুন, এতেই আপনার কর্মক্ষমতার পূর্ণ সদ্ব্যবহার সম্ভব। যেমন, অর্জুন যখন কুরুক্ষেত্র যুদ্ধে যোদ্ধার ভূমিকা পালন করছেন তখন তিনি ভাই, সন্তান বা পিতার ভূমিকা পালন থেকে নিজেকে বিরত রাখছেন। 
২. আপনার কর্মের লক্ষ্য কী:
অবশ্যই সাফল্যলাভই আপনার যে কোনও কাজের প্রধান লক্ষ্য। কিন্তু শুধু সাফল্য নয়, ব্যর্থতাও আসতে পারে কাজের শেষে। ব্যর্থতার চিন্তা আগে থেকেই যদি আপনাকে গ্রাস করে তাহলে কাজের উৎসাহ আপনি হারিয়ে ফেলবেন। অতএব, পরিণামে কী ঘটবে তা না ভেবেই কাজ করে যেতে হবে আপনাকে। এই ভাবনা থেকেই গীতার বিখ্যাত ‘নিষ্কাম কর্মে’র তত্ত্বের উদ্ভব। ফলের কথা না ভেবেই যাঁরা কাজ করে যান তাঁরাই সর্বতোভাবে নিজেকে উৎসর্গ করতে পারেন নিজের কাজে। 
৩. কাজে হাত দেওয়ার আগে আপনার করণীয় কী:
কাজ শুরু করার আগে সেই বিষয়ে যথেষ্ট ভেবে নিন, কিন্তু একবার কাজে হাত দেওয়ার পরে সেই কাজ শেষ করাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়াক। ঠিক যেমন একবার জলে ঝাঁপ দিয়ে পড়লে সাঁতরে তীরে ওঠাই আপনার একমাত্র লক্ষ্য হয়ে দাঁড়ায়। 
৪. আপনি কার হয়ে কাজ করছেন:
কর্মক্ষেত্রে আপনি আপনার ঊর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষের অধীন। কিন্তু আদপে কাজ করুন সেই মহান অন্তর্যামীর হয়ে। অর্থাৎ আপনার কাজের যেন একটা বৃহত্তর অর্থ থাকে।
৫. কোন পথে আপনি এগোবেন:
অবশ্যই নীতির পথে। শুধু তাই নয়, যেখানে দুর্নীতি দেখবেন সেখানে লড়ুন দুর্নীতির বিরুদ্ধে। দুর্নীতি সম্পূর্ণ পরাভূত না হওয়া পর্যন্ত ক্ষান্ত হবেন না।

Share this

Related Posts